ক্ষুদিরাম বসু স্মরণীয় কেন | Khudiram Bose
ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র ছিল বাংলা, আর বাংলার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ছিল মেদিনীপুর। বাংলার বিপ্লবীদের মধ্যে প্রথম শহিদ ছিলেন ক্ষুদিরাম বসু । হিন্দু সংস্কার অনুযায়ী তাঁর বড়দি অপরূপা তাঁকে তিন মুঠো ক্ষুদ দিয়ে কিনেছিলেন বলে তাঁর নাম হয় ক্ষুদিরাম।
ক্ষুদিরাম বসু
বিপ্লবী দলে যোগদান:
মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে পড়াকালীন ক্ষুদিরাম দেশের কাজে নিজেকে সঁপে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্কুলজীবন শেষ করে কলেজে ভরতি হলেও তিনি কলেজ ত্যাগ করে সত্যেন বোসের বিপ্লবী দলে যোগ দেন।
কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা:
বারীন কুমার ঘোষ, ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকীর ওপর মুজাফ্ফরপুরের জেলা জজ কিংসফোর্ডকে হত্যার দায়িত্ব দেন। এই লক্ষ্যে ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী মুজাফ্ফরপুরে আসেন। ৩০ এপ্রিল, ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে রাতে তাঁরা কিংসফোর্ডের গাড়ি লক্ষ করে বোমা ছোঁড়েন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গাড়ির মধ্যে কিংসফোর্ড ছিলেন না। নিহত হন মিসেস কেনেডি ও মিস কেনেডি। ফলে কিংসফোর্ডকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
তথ্য সূত্র:
ইতিহাস শিক্ষক- অষ্টম শ্রেণী | জে মুখোপাধ্যায়।