টীকা অমৃতসরের সন্ধি (১৮০৯ খ্রিস্টাব্দ) | Treaty of Amritsar, (April 25, 1809)
পটভূমি:
অখিল শিখ সাম্রাজ্য স্থাপনের আদর্শ নিয়ে রণজিৎ সিংহ শতদ্রু নদীর পূর্ব তীরের শিখ মিলগুলি জয়ের চেষ্টা শুরু করেন। এতে মিস্সগুলির সর্দাররা ভীত হয়ে পাতিয়ালার সর্দার সাহেব সিংহের নেতৃত্বে ইংরেজ দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করে। কিন্তু সেই সময়ে ফরাসি আক্রমণের সম্ভাবনা থাকায় ব্রিটিশ গভর্নর-জেনারেল লর্ড মিন্টো রণজিতের বিরোধিতার সাহস করেনি।
সন্ধি স্বাক্ষর:
লর্ড মিন্টো রণজিতের সঙ্গে আলোচনার জন্য চার্লস মেটকাফকে লাহোরে রণজিতের দরবারে পাঠান। আলোচনার পর রণজিৎ সিংহ ও ইংরেজ কোম্পানির মধ্যে ‘অমৃতসরের সন্ধি’ (১৮০৯ খ্রি.) স্বাক্ষরিত হয়।
শর্ত:
সন্ধির শর্ত অনুযায়ী—
১. শতদ্রু নদীর পশ্চিম তীর পর্যন্ত রণজিৎ সিংহের রাজ্যসীমা নির্দিষ্ট হয়।
২. শতদ্রুর পূর্ব তীরের শিখ মিলগুলি ইংরেজদের আনুগত্য স্বীকার করলে সেখানে ইংরেজ সৈন্য মোতায়েন করা হয়।
৩. স্থির হয় উভয়পক্ষ স্থায়ী মৈত্রী বজায় রাখবে।
ফলাফল: অমৃতসরের সন্ধি ইংরেজদের কূটনৈতিক সাফল্য এবং রণজিৎ সিংহের চরম ব্যর্থতার অন্যতম দৃষ্টান্ত। এর ফলে-
১. রণজিৎ সিংহের অখিল শিখ সাম্রাজ্য গঠনের স্বপ্ন চিরতরে বিনষ্ট হয়।
২. ইংরেজরা বিনা যুদ্ধে শতদ্রু ও যমুনা নদীর মধ্যবর্তী শিখ রাজ্যগুলির ওপর আধিপত্য স্থাপনে সক্ষম হয়।
মন্তব্য:
অমৃতসরের চুক্তি ছিল শিখ সামরিক জাতীয়তাবাদের বিয়োগান্তক পরিণতি। ড. নরেন্দ্রকৃঘ্ন সিংহ বলেছেন— “ইংরেজ ছিল অশ্বারোহী, আর রণজিৎ সিংহ ছিলেন অশ্ব।”
তথ্য সূত্র:
মাধ্যমিক ইতিহাস শিক্ষক- জি.কে. পাহাড়ী।
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির গুরুত্ব | Notes on Subsidiary Alliance