সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসক লর্ড ওয়েলেসলি ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রসারের লক্ষ্যে অধীনতামূলক মিত্ৰতা নীতি প্রবর্তন করেন। হায়দ্রাবাদের নিজাম সর্বপ্রথম এই নীতিতে আবদ্ধ হন। এরপর ওয়েলেসলি অযোধ্যার নবাব, পেশোয়া দ্বিতীয় বাজীরাও-এর শাসনাধীন অঞ্চল এবং মালব, উদয়পুর, যোধপুর প্রভৃতি রাজপুত রাজ্যগুলি অধিকার করেন।
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির গুরুত্ব:
দেশীয় রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে:
১. আর্থিক ক্ষতিসাধন:
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির শর্তানুযায়ী দেশীয় রাজ্যগুলিকে নিজের খরচে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ব্যয়ভার নির্বাহ করতে হত। এতে দেশীয় রাজ্যগুলির আর্থিক অপচয় ঘটে।
২. সামরিক সুরক্ষার অভাব:
অধীনতামূলক মিত্রতাবদ্ধ রাজ্যগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে চলে যাওয়ায় দেশীয় রাজ্যগুলির সেনাবাহিনী গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীর সৈন্যসংখ্যা দিনের পর দিন কমিয়ে দেওয়ার ফলে কর্মচ্যুত সৈনিকদের অনেকেই দস্যু দলে নাম লেখায়।
ইংরেজদের ক্ষেত্রে:
১. সার্বভৌম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ: অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির প্রয়োগ ঘটিয়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শক্তিশালী ও সম্পদশালী হয়ে ওঠে এবং এক সার্বভৌম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
২. ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিস্তার:
ব্রিটিশ একের পর এক দেশীয় রাজ্যে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির প্রয়োগ ঘটিয়ে সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটায়। ধীরে ধীরে ভারতস্থ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে রূপান্তরিত হয়।
তথ্য সূত্র:
মাধ্যমিক ইতিহাস শিক্ষক- জি.কে. পাহাড়ী।
1 thought on “অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির গুরুত্ব | Notes on Subsidiary Alliance”