অভ্যন্তরীণ ব্যয় সংকোচ সম্পর্কে একটি টীকা লেখ
কোনো একটি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আয়তন সম্প্রসারণ -এর দরুন যে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে। তাকেই অভ্যন্তরীণ ব্যয় সংক্ষেপ বা সংকোচ বলা হয়। অভ্যন্তরীণ ব্যয় সংক্ষেপ থেকে উদ্ভব সুবিধা কোনো একটি বিশেষ ফার্ম বা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান একাই ভোগ করে। অভ্যন্তরীণ ব্যয় সংকোচ নিম্নলিখিত ধরনের হয়ে থাকে
i) প্রযুক্তিগত বা কারিগরি ব্যয় সংক্ষেপ:
আধুনিক অর্থ ব্যবস্থায় অধিকাংশ কারখানায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বৃহৎ যন্ত্রপাতির সাহায্যে উৎপাদন হয়ে থাকে। এর ফলে ফার্মের পক্ষে অনেক কম ব্যয় ও অধিক পরিমাণে দ্রব্য উৎপাদন করা সম্ভব হয়। ফলে ফার্মের উৎপাদিত দ্রব্যের একক প্রতিব্যয় কম হয়। একেই প্রযুক্তিগত ব্যয় সংকোচ বলা হয়।
ii) বিপণনগত ব্যয় সংক্ষেপ:
কোনো একটি বিশেষ ফার্মের উৎপাদন বৃহৎ মাত্রায় সংঘটিত হলে ওই ফার্মের উদ্যোক্তার পক্ষে উৎপাদিত দ্রব্য বাজারে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এবং কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। ফলে ফার্মের উৎপাদিত দ্রব্যের একক প্রতি ব্যয় কম হয়। একেই বিপণন জনিত ব্যয় সংক্ষেপ বলে।
iii) আর্থিক ব্যয় সংক্ষেপ:
কোনো একটি বিশেষ ফার্মের আয়তন বৃহৎ হলে ওই ফার্মের বাজারে সুনাম বৃদ্ধি হয়। ফলে ওই ফার্মের উদ্যোক্তার পক্ষে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা জনক শর্তে ঋণ পাওয়া সম্ভব হয়। ফলে উৎপাদিত দ্রব্যের একক প্রতি ব্যয় কম হয়। একে আর্থিক ব্যয় সংক্ষেপ বলে।
iv) পরিচালন গত ব্যয় সংক্ষেপ :
কোনো একটি ফার্মের আয়তন বৃহৎ হলে পরিচলনগত ব্যয় সংক্ষেপ দুটি কারণে উদ্ভব হতে পারে। একটি হল পরিচালন কর্তৃপক্ষ ছোটখাটো কাজের দায়িত্ব অধীনস্থ কর্মচারীদের হাতে দিয়ে নিজেরা সাময়িক কাজে মননিবেশ করতে পারে। এবং অপরটি হল পরিচালন কর্তৃপক্ষ কাজকে কতগুলি ভাগে ভাগ করে, একক ভাগের দায়িত্ব একজন বিশেষজ্ঞ পরিচালককে অর্পণ করা হয়। এর ফলে প্রতিবেক কমে আসে এবং পরিচালন গত ব্যয় সংক্ষেপ সৃষ্টি হয়।
v) ঝুঁকি বহনগত ব্যয় সংক্ষেপ:
কোনো একটি কারখানা বৃহৎ মাত্রায় উৎপাদন করলে ওই ফার্মের উদ্যোক্তার পক্ষে দ্রব্য উৎপাদনে বৈচিত্র আনা সম্ভব হয়। ফলে কোনো একটি বিশেষ দ্রব্যের বাজারে নিম্নগামী হলে বা চাহিদা হ্রাস পাওয়ার ফলে ক্ষতি হওয়ার যে সম্ভাবনা থাকে তা অন্য দ্রব্যের থেকে মিটিয়ে ফেলা যায়। ফলে ঝুঁকিও কম হয়। একে ঝুঁকি বহনগত ব্যয় সংক্ষেপ বলা হয়